আচরণবিধি
-
পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে সকল কাজ আরম্ভ করবে।
-
মাতা-পিতা, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বড়দের শ্রদ্ধা করবে এবং সালাম দেবে।
-
সৎ চিন্তা করবে, সৎ পথে চলবে, সত্য কথা বলবে, অন্যায় কে ঘৃণা এবং প্রতিহত করতে চেষ্টা করবে।
-
অধ্যবসায়ী ও পরিশ্রমী হবে। হতাশ হবে না। জীবনে সফলতার জন্য আল্লাহর উপর ভরসা, সাহায্য প্রার্থনা ও সাধনা করবে।
-
স্কুল ইউনিফর্ম পরিধান করে নিয়মিত স্কুলে আসবে। স্কুল ইউনিফর্ম না পরে আসলে অনুপস্থিত ধরা হবে।
-
জাতীয় সংগীত, শপথ বাক্য ও নিজ নিজ প্রার্থনা (বাংলাঅর্থসহ) শুদ্ধ উচ্চারণে মুখস্থ করবে।
-
ক্লাস বসার ১৫ মিনিট পূর্বে যথারীতি ‘সমাবেশে’ যোগদান করবে এবং সেখান থেকে সারিবদ্ধভাবে শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করবে।
-
শ্রেণির ঘন্টা বাজার পর ২/৩ মিনিটের মধ্যে যদি কোন শিক্ষক/শিক্ষিকা শ্রেণি কক্ষে না আসেন, তাহলে শ্রেণি মনিটর সহকারি প্রধান শিক্ষককে অবশ্যই জানাবে।
-
স্কুলচলাকালীন সময়ে টিফিন পিরিয়ড ব্যতীত কোন ছাত্র/ছাত্রী শ্রেণিকক্ষের বাইরে যেতে পারবে না।
-
শ্রেণিকক্ষের ময়লা-আবর্জনা, টিফিনের বর্জ্য ইত্যাদি যত্রতত্র না ফেলে ক্লাসে সংরক্ষিত ঝুড়িতে ফেলতে হবে।
-
বহিরাগত বন্ধু-বান্ধব নিয়ে কোন ছাত্র/ছাত্রী স্কুলে প্রবেশ করতে পারবে না।
-
টিফিন পিরিয়ডের পর ওয়ার্নিং বাজার সাথে সাথে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করবে।
-
স্কুলের সম্পদ কেউ নষ্ট করবে না, কোন সম্পদ নষ্ট হতে দেখলে বাধা দেবে এবং কর্তৃপক্ষকে তৎক্ষণাৎ জানাবে।
-
খেলাধুলা এবং বিদ্যালয়ের যেকোন অনুষ্ঠানে শান্তি-শৃঙ্খলা-একতা বজায় রেখে অনুষ্ঠানকে সুন্দর ও সফল করতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবে।
-
কোন ছাত্র স্কুলে এসে ছুটির আগে পালিয়ে গেলে তাকে উক্ত দিনের জন্য অনুপস্থিত ধরা হবে এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে না।
-
রীতিমত পড়া শিখে স্কুলে আসবে এবং বাড়ির কাজ করে আনবে।
-
শ্রেণিতে পাঠদান করার সময় মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং বুঝতে চেষ্টা করবে। কোন পাঠ ভাল করে বুঝতে না পারলে আবার বুঝিয়ে দিতে শিক্ষককে অনুরোধ করবে।
-
প্রতি পিরিয়ডে শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ যে পাঠদান করবেন তা সংক্ষেপে “দৈনিকপাঠেরবিবরণী” বইতে লিপিবদ্ধ করবে। বইটি বুঝতে না পারলে শিক্ষকের সাহায্য প্রার্থনা করবে।
-
পরীক্ষার হলে নকল করার চেষ্টা করবে না। কথা-বার্তা বলবে না, বই-পত্র, ব্যাগ বা লেখা কোন কাগজ সঙ্গে আনা নিষেধ। নকলের প্রস্ততি অথবা নকল করলে তাকে তৎক্ষণাৎ বহিস্কার করা হবে।
-
ছুটির ঘন্টা বাজার পর কোন রকম হৈ-চৈ করা চলবে না। ছুটির পর শ্রেণিকক্ষের লাইট, ফ্যান বন্ধ করে সকল ছাত্র সারিবদ্ধভাবে নিঃশব্দে শ্রেণিকক্ষ ত্যাগ করবে।
-
স্কুলের দেয়াল, দরজা, জানালা বা বেঞ্চে কোন কিছু লিখা যাবে না।
-
ছাত্র/ছাত্রীদের একক বা কোন যৌথ আবেদন লিখিতভাবে শ্রেণি শিক্ষক/শিক্ষিকার মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে।
-
“দৈনিক পাঠের বিবরণী” এর কভার পৃষ্ঠায় ছাত্র/ছাত্রীদের ছবিসহ পরিচিতি থাকবে।
-
কোন ছাত্র/ছাত্রী কোন ক্লাসে একবার ফেল করে সেই ক্লাসে আবার পড়তে চাইলে, পরবর্তী জানুয়ারী মাসের স্কুলের বেতন ও অন্যান্য পাওনা পরিশোধ করতে হবে। পুনঃভর্তি অবশ্যই তার সন্তোষজনক আচরণের উপর নির্ভর করবে।
-
কোন ছাত্র/ছাত্রী একই ক্লাশে দু’বার ফেল করলে সরকারি আইন অনুযায়ী সে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নের আর কোন সুযোগ পাবে না।
-
ছাত্র/ছাত্রীদের আচার-আচরণে ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে, বিদ্যালয়ের বিধি-বিধান ও শৃঙ্খলা মেনে না চললে বা শৃঙ্খলা পরিপন্থি কোন কাজ করলে তার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
-
প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রী “দৈনিক পাঠের বিবরণী” বইটি যথাযথ ব্যবহার করবে। বইটি সঠিকভাবে ব্যবহৃত হলো কিনা তা দেখার জন্য অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্বে শ্রেণি শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে।
-
অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষায় প্রতি বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
-
প্রতি শ্রেণি পরীক্ষা/সাময়িক পরীক্ষার আগে বিদ্যালয়ের মোট কার্য দিবসের ৮০% উপস্থিতি না থাকলে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না।
-
বিদ্যালয়ে মোবাইল অথবা অন্য কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস আনা সস্পূর্ণ নিষেধ।
***উপরোক্ত আদেশ, নিষেধ ও উপদেশগুলো যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।****